শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৩ অপরাহ্ন
থানা প্রতিনিধি: মুলাদী উপজেলায় নারীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিন নারী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুত্বর এক নারীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের চরডুমুরিতলা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। আহতরা হলেন, চরডুমুরিতলা গ্রামের সামসুল হক কবিরাজের বড় মেয়ে কমলা বেগম, ছোট মেয়ে নিলুফা বেগম ও নাতনি রিমা আক্তার।
কমলা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সামসুল হক কবিরাজের ভাই এসকান্দার কবিরাজের মেয়ে আফরোজা বেগম কয়েকজন নারীকে নিয়ে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে তার চাচাতো বোন, একই বাড়ির কমলা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে। ওই সময়ে তাকে রক্ষা করতে যান কমলার বোন নিলুফা ও বোনের মেয়ে রিমা আক্তার।
এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। নিলুফা ও রিমা আক্তার আহত হয়। আহত কমলা বেগমের ছোট বোন নিলুফা আক্তার জানান, এসকান্দার কবিরাজের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ ছাড়া তার বোনের মেয়ে রিমা ১০ থেকে ১৫দিন আগে এসকান্দার কবিরাজের দুই মেয়ে তানিয়া ও সোনিয়াকে এলাকার দুই ছেলের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়িতে এসে সবার কাছে বলে দেয়।
এ নিয়ে এসকান্দার কবিরাজের সঙ্গে তাদের শত্রুতার সৃষ্টি হয়। শত্রুতার জের ধরে বিকেলে আফরোজা বেগম, তানিয়া, সোনিয়া ও মাহফুজা ওৎ পেতে থেকে রিমা আক্তারকে একা পেয়ে মারধর শুরু করে। ওই সময়ে কমলা বেগম ও নিলুফা বেগম বোনের মেয়েকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা কমলা বেগমকে কুপিয়ে জখম করে।
কমলা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে নিলুফা ও রিমা আক্তার এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পুনরায় তাদের পিটিয়ে-কুপিয়ে আহত করে। হামলাকারীরা কমলা বেগমের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং ঘর-দরজা কুপিয়ে চলে যায়। পরে আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাদের নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে কমলা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় নিলুফা বেগম বাদী হয়ে এসকান্দার কবিরাজ, তার মেয়ে আফরোজা, তানিয়া, সোনিয়াসহ ছয় জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান জানান, মারামারির খবর পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মারামারির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply